বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্প্যাম !!

 



বাংলাদেশের ইস্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রি ক্রমাগত জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও, দুর্নীতির কালো ছায়া এর উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে পাবজি মোবাইল ইস্পোর্টস কমিউনিটিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি, দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, যারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশি অর্গানাইজার, টিম এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন।

Kazi Arafat Hossain: A1 Esports ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতারণার মূল ব্যক্তি?

Tencent-এর প্রাক্তন কর্মকর্তা Kazi Arafat Hossain-এর বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:

- A1 Esports-এর প্রাইজ পুল কেলেঙ্কারি: A1 Esports-এর মালিক এবং IGL SINISTER লাইভে এসে অভিযোগ করেন যে, ২০ লাখ টাকা প্রাইজপুল থাকা সত্ত্বেও দলটি মাত্র ৯ লাখ টাকা পেয়েছে। বাকি ১১ লাখ টাকার হিসাব চাইলে, Kazi Arafat Hossain দাবি করেন যে টুর্নামেন্টের অর্থ বাংলাদেশে ট্রান্সফারের জন্য ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে, তিনি এর কোনো ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।

- A1 Esports-এর মিডিয়া হাইজ্যাক: SINISTER যখন লাইভে এসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন Kazi Arafat Hossain A1 Esports-এর ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে SINISTER দের সরিয়ে দেন।

- কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের (যেমন Sinister, Timeburner, Nooboss Gaming, Apollo Gaming) ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল অকারণে ডিজেবল করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, Kazi Arafat Hossain এবং Imran Hossain Alve একসঙ্গে এসব ঘটনার পেছনে ছিলেন।

Tencent কর্মকর্তার প্রতারণা – Imran Hossain Alve এর সিন্ডিকেট?

Tencent Games-এর বর্তমান Community Manager, Imran Hossain Alve-এর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে:

- ইস্পোর্টস রুম কার্ড ও ব্রডকাস্ট বিক্রি: পাবজি মোবাইলের থার্ড-পার্টি টুর্নামেন্টের জন্য ফ্রি দেওয়া ইস্পোর্টস রুম কার্ড ও ব্রডকাস্ট তিনি বাংলাদেশি অর্গানাইজারদের কাছে বিক্রি করতেন, যার ফলে তারা অতিরিক্ত খরচ করতে বাধ্য হতেন। অথচ, নেপালের অর্গানাইজারদের বিনামূল্যে এসব সুবিধা দেওয়া হতো।

- ওয়াচ পার্টি সিন্ডিকেট: অফিসিয়াল টুর্নামেন্টের ওয়াচ পার্টির অনুমোদন শুধুমাত্র তার পছন্দের কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দেওয়া হতো। বাংলাদেশের শীর্ষ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের (যেমন Apollo Gaming, DeathG, Nooboss Gaming, Arpon Plays) অনুমোদন না দিয়ে তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া, PPS ORG নামক একটি প্রতিষ্ঠানকেও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের ইস্পোর্টস ভবিষ্যৎ: দুর্নীতি মুক্ত করা কি সম্ভব?

এই দুর্নীতির ফলে বাংলাদেশের ইস্পোর্টস কমিউনিটিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। টুর্নামেন্ট অর্গানাইজাররা প্রতিযোগিতা আয়োজনের আগ্রহ হারাচ্ছেন, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, এবং দলগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের ইস্পোর্টস কমিউনিটি যদি এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। তাই, কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

আপনার মতামত কী? বাংলাদেশের ইস্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির এই দুর্নীতি বন্ধ করতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত? কমেন্টে জানান আপনার মতামত.

News by : 

E-Sports Network Bangladesh 

Previous Post Next Post